শীতকালে তৈরি করার জন্য সেরা ১০টি পিঠার রেসিপি

১০ মিনিটে তৈরি করা যায় এমন সহজ রেসিপিশীতের সকাল কিংবা উৎসবের আয়োজনে পিঠা ছাড়া যেন সবকিছুই অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশে শতাধিক ধরনের পিঠা প্রচলিত রয়েছে, যার প্রতিটিই স্বাদ ও ঐতিহ্যে অনন্য। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, পাকন পিঠা, মালপোয়া, পুলি পিঠাসহ আরও অনেক ধরনের পিঠা আমাদের সংস্কৃতির অংশ।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে ভিজানো কিসমিস খেলে কি হয়? জানুন বিস্তারিত

ভাপা পিঠা

শীতকাল এলেই ভাপা পিঠার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে শহরে। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাপা পিঠা খেতে যেমন মজাদার, তেমনি এটি তৈরি করাও বেশ সহজ। চালের গুঁড়া, গুড় ও নারকেলের অনন্য মিশ্রণ এই পিঠাকে অতুলনীয় করে তোলে। আপনি কি ঘরে বসে পারফেক্ট ভাপা পিঠা তৈরি করতে চান? তাহলে এই রেসিপিটি আপনার জন্য!

ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ:

• চালের গুঁড়া – ২ কাপ
• নারকেল কোরা – ১ কাপ
• খেজুর গুড় – ১ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)
• লবণ – ১ চিমটি
• গরম পানি – ১/২ কাপ
• পিঠা ভাপানোর জন্য পাতলা কাপড়

ভাপা পিঠা তৈরির সহজ প্রণালী:

1. চালের গুঁড়া প্রস্তুত করুন: চালের গুঁড়ার সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর সামান্য গরম পানি ছিটিয়ে হাত দিয়ে মথে নরম গুঁড়ো তৈরি করুন, যাতে এটি দানাদার ও ঝরঝরে থাকে।
2. পুর তৈরি করুন: নারকেল কোরার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে নিন। চাইলে এতে সামান্য এলাচ গুঁড়া যোগ করতে পারেন বাড়তি সুগন্ধের জন্য।
3. পিঠা গঠন করুন: একটি ছোট স্টিলের বাটি বা ছাঁচ নিন, তাতে পাতলা চালের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। এরপর তার উপরে নারকেল ও গুড়ের পুর দিন এবং আবার চালের গুঁড়ার স্তর দিয়ে ঢেকে দিন।
4. ভাপ দিন: একটি পাত্রে ফুটন্ত পানির ওপরে ছিদ্রযুক্ত চালনি রাখুন ও এর ওপরে পাতলা কাপড় বিছিয়ে পিঠাগুলো দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ৮-১০ মিনিট ভাপিয়ে নিন।
5. পরিবেশন করুন: পিঠা যখন সাদা ও নরম হয়ে যাবে, তখন এটি নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। চাইলে উপর থেকে সামান্য গুড় ছিটিয়ে দিতে পারেন।

ভাপা পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• খেজুর গুড়ের পরিবর্তে নারকেল গুড় বা চিনিও ব্যবহার করা যায়।
• চালের গুঁড়া ঝরঝরে রাখতে হালকা গরম পানির ছিটা দিন, কিন্তু একসাথে বেশি পানি দেবেন না।
• পিঠা বেশি নরম করতে চাইলে ভাপানোর সময় ঢাকনার নিচে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।

শীতের সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে গরম গরম ভাপা পিঠা – এ যেন এক অনন্য স্বাদ! আপনি যদি আরও নতুন নতুন পিঠার রেসিপি জানতে চান, আমাদের অন্যান্য পিঠার সংগ্রহ দেখে নিন। 😊

পাটিসাপটা পিঠা

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সুস্বাদু পিঠার মধ্যে পাটিসাপটা পিঠা একটি। এটি সাধারণত দুধ, সুজি, নারকেল ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে মিষ্টি পুর ভরে তৈরি করা এই পিঠা শিশুরা থেকে শুরু করে সবাই খুব পছন্দ করে। শীতকাল, পিঠা উৎসব কিংবা যে কোনো বিশেষ দিনে এই পিঠা হতে পারে পারফেক্ট আয়োজন। আসুন জেনে নিই সহজ পদ্ধতিতে পাটিসাপটা তৈরির রেসিপি!

পাটিসাপটা পিঠা তৈরির উপকরণ

রুটির জন্য:

• ময়দা – ১ কাপ
• চালের গুঁড়া – ১/২ কাপ
• সুজি – ১/৪ কাপ
• চিনি – ২ টেবিল চামচ
• লবণ – ১ চিমটি
• দুধ বা পানি – ১.৫ কাপ
• তেল বা ঘি – পরিমাণমতো (প্যান গ্রিজ করার জন্য)

পুরের জন্য:

• নারকেল কোরা – ১ কাপ
• গুড় বা চিনি – ১/২ কাপ
• দুধ – ১/২ কাপ
• এলাচ গুঁড়া – ১ চিমটি

পাটিসাপটা পিঠা তৈরির সহজ প্রণালী

1. রুটির ব্যাটার তৈরি করুন: একটি বাটিতে ময়দা, চালের গুঁড়া ও সুজি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে চিনি, লবণ ও দুধ দিয়ে মিশিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার যেন খুব বেশি ঘন বা খুব বেশি পাতলা না হয়, খেয়াল রাখবেন। এবার ১৫-২০ মিনিট ব্যাটারটি ঢেকে রেখে দিন।
2. পুর তৈরি করুন: কড়াইয়ে নারকেল ও গুড়/চিনি দিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিন। এতে দুধ দিন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। যখন পুর শুকিয়ে আসবে, তখন এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
3. পাটিসাপটা রুটি তৈরি করুন: একটি নন-স্টিক প্যান গরম করে হালকা তেল বা ঘি ব্রাশ করুন। এবার এক হাতা ব্যাটার ঢেলে গোল করে ছড়িয়ে দিন। হালকা বাদামি রং হলে রুটির এক পাশে পুর দিয়ে দিন।এবার ধীরে ধীরে রোল করে পাটিসাপটা আকার দিন। সব পিঠা এভাবে তৈরি করে পরিবেশন করুন।

পাটিসাপটা পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস

• ময়দার সাথে চালের গুঁড়া ও সুজি মেশালে পিঠা আরও নরম ও সুস্বাদু হয়।
• গুড়ের পরিবর্তে ক্ষীর বা মাওয়ার পুর ব্যবহার করলেও দারুণ লাগবে।
• চাইলে পাটিসাপটা তৈরি করে উপর থেকে কনডেন্সড মিল্ক বা গুড়ের সিরা দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম পাটিসাপটা পিঠা পরিবেশন করুন এক কাপ চায়ের সাথে, অথবা ঠান্ডা দুধের সাথে খেতে পারেন আরও মজাদারভাবে। শীতের সন্ধ্যায় বা অতিথি আপ্যায়নে এই পিঠা আপনার আয়োজনকে আরও বিশেষ করে তুলবে! 😊

চিতই পিঠা

বাংলাদেশের শীতকালীন পিঠাগুলির মধ্যে চিতই পিঠা অন্যতম। এটি অত্যন্ত সহজ, সুস্বাদু এবং অনেকটাই ঝরঝরে হয়। চিতই পিঠা তৈরি হয় ময়দা, সুজি, গুড় এবং নারকেলের মিশ্রণে। এই পিঠাটি পুষ্টিকর এবং একদম সাদামাটা হলেও, তার স্বাদে কোনো মিল নেই। পরিবার বা বন্ধুদের সাথে শীতের বিকেলে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। আসুন, শিখে নিই চিতই পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি।

চিতই পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ২ কাপ
• সুজি – ১/৪ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• নারকেল কোরানো – ১/২ কাপ
• তেল – ২ টেবিল চামচ
• লবণ – ১/২ চা চামচ
• গরম পানি – পরিমাণমতো

চিতই পিঠা তৈরির সহজ প্রণালী:

1. ব্যাটার তৈরি করুন: একটি বাটিতে ময়দা, সুজি, চিনি, নারকেল কোরানো ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর একটু একটু করে গরম পানি যোগ করে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার যেন খুব পাতলা বা খুব ঘন না হয়, মাঝামাঝি রাখতে হবে। ব্যাটার তৈরি হয়ে গেলে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।
2. পিঠা তৈরি করুন: একটি নন-স্টিক প্যান গরম করে এতে তেল দিন। প্যান গরম হলে, এক টেবিল চামচ ব্যাটার প্যানের মাঝখানে ছড়িয়ে দিন। পিঠাটি হালকা সোনালী রঙে পেকিয়ে আসলে উল্টে দিন। প্রতিটি পিঠা দুইপাশে সোনালী রঙে ভাজা হলে নামিয়ে নিন। এইভাবে বাকি পিঠাগুলোও তৈরি করুন।
3. পরিবেশন করুন: গরম গরম চিতই পিঠা পরিবেশন করুন। যদি চান, তবে পিঠার উপর একটু গুড় বা মধু ছিটিয়ে দিতে পারেন।

চিতই পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• গুড় বা চিনি এর পরিমাণ স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি করতে পারেন।
• নারকেলের বদলে আপনি খেজুর গুড় ব্যবহার করতে পারেন, যা পিঠাটির স্বাদকে আরও গভীর করবে।
• চাইলে পিঠার রুটি তৈরির আগে প্যানের তেলে সামান্য এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে দিতে পারেন, এতে আরো সুগন্ধি হবে।

পরিবেশন ও উপভোগ

চিতই পিঠা গরম গরম দুধ বা চা এর সাথে খেতে অতুলনীয়! শীতের রাতে এই পিঠাটি একটি মজাদার পরিবেশন হয়ে উঠতে পারে। ঘরোয়া পরিবেশে এই পিঠা তৈরি করে আপনার পরিবার বা অতিথিদের মন জয় করতে পারেন। 😊

দুধ চিতই পিঠা

দুধ চিতই পিঠা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী পিঠা, যা তৈরি হয় ময়দা, দুধ এবং নারকেল দিয়ে। এই পিঠাটি দেখতে সাধারণ হলেও দুধের ক্রিমি স্বাদ ও নরম টেক্সচার এর বিশেষত্ব। শীতকালীন সময়ে কিংবা উৎসবের দিনে মিষ্টি হিসেবে এটি খুবই জনপ্রিয়। তার উপর যদি দুধের রেসিপি হয়ে থাকে, তাহলে তো আরও মজা। চলুন, জেনে নিই দুধ চিতই পিঠা তৈরির রেসিপি!

দুধ চিতই পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ২ কাপ
• সুজি – ১/৪ কাপ
• দুধ – ১ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• নারকেল কোরানো – ১/২ কাপ
• তেল – ২ টেবিল চামচ
• লবণ – ১/২ চা চামচ
• গরম পানি – পরিমাণমতো

দুধ চিতই পিঠা তৈরির সহজ প্রণালী:

1. ব্যাটার তৈরি করুন: একটি বাটিতে ময়দা, সুজি, নারকেল কোরানো এবং লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।এরপর চিনি ও দুধ যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন। যদি ব্যাটারটি ঘন হয়ে যায়, তবে একটু গরম পানি দিয়ে পাতলা করে নিন। ব্যাটারটি ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
2. পিঠা তৈরি করুন: একটি নন-স্টিক প্যান গরম করে তাতে তেল দিন। প্যান গরম হলে, এক টেবিল চামচ ব্যাটার প্যানের মধ্যে ঢেলে দিন। পিঠাটি সোনালি ও crispy না হয়ে পেকিয়ে আসলে উল্টে দিন।পিঠার দুইপাশ সোনালী রঙে ভাজা হলে নামিয়ে নিন।
3. দুধে ভিজিয়ে দিন: একটি পাত্রে দুধ গরম করে তাতে কিছু চিনি দিয়ে গলে নিতে হবে। পিঠাগুলো সোনালী হয়ে নামিয়ে, গরম দুধে ডুবিয়ে নিন। ৫ মিনিট দুধে ভিজে গেলে পিঠাগুলো প্লেট এ তুলে পরিবেশন করুন।

দুধ চিতই পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• দুধের মধ্যে এলাচ গুঁড়া যোগ করলে আরো সুগন্ধি ও মিষ্টি হবে।
• পিঠাগুলোর ভেতরে গুড় ব্যবহার করলে, এতে স্বাদ আরও ভিন্ন ও গভীর হবে।
• দুধের সাথেও চাইলে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন।

পরিবেশন ও উপভোগ

দুধ চিতই পিঠা গরম গরম খেতে খুবই সুস্বাদু, বিশেষ করে শীতের সকালে বা সন্ধ্যায়। যদি আপনি কোনো উৎসব বা পার্টি আয়োজন করেন, তাহলে এই পিঠা সহজেই সবাইকে মুগ্ধ করবে। এক কাপ গরম চায়ের সঙ্গে এই পিঠা খেতে পুরো বাড়ির পরিবেশ বদলে যাবে! 😊

মালপোয়া পিঠা

মালপোয়া পিঠা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পিঠা। শীতকাল হল মালপোয়া তৈরির সময়, যা দুধ, ময়দা, সুজি এবং মিষ্টি সিরার সমন্বয়ে তৈরি হয়। মালপোয়া পিঠা খেতে খুব মজাদার এবং এর স্বাদ চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে। এটি একেবারে মিষ্টি আর ক্রিসপি থাকে এবং সাধারণত টানা গরম তেলে ভাজা হয়। চলুন, জেনে নিন মালপোয়া পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি।

মালপোয়া পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ১ কাপ
• সুজি – ১/৪ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• দুধ – ১/২ কাপ
• এলাচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
• বেকিং পাউডার – ১/২ চা চামচ
• তেল – পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
• গোলাপ জল – ১ টেবিল চামচ
• পানি – পরিমাণমতো (বাটা বানানোর জন্য)

মালপোয়া পিঠা তৈরির প্রণালী:

1. ব্যাটার তৈরি করুন: একটি বাটিতে ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার, এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এরপর এতে দুধ ও পানি যোগ করে একটি মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটারটি খুব পাতলা না হয়ে মাঝারি ঘন হতে হবে। ২০ মিনিট ব্যাটারটি রেখে দিন।
2. সিরা তৈরি করুন: একটি পাত্রে চিনি ও পানি মিশিয়ে হালকা আঁচে গলিয়ে সিরা তৈরি করুন। সিরাতে গোলাপ জল যোগ করে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। সিরা যেন খুব ঘন না হয়, তাই মাঝারি ঘনত্বের রাখুন।
3. পিঠা ভাজা: একটি প্যান বা কড়াইতে তেল গরম করুন। ব্যাটার থেকে এক টেবিল চামচ করে তেলে দিন এবং ছোট ছোট মালপোয়া তৈরি করুন। পিঠাগুলো একপাশ সোনালী হয়ে উঠলে উল্টে দিন। পিঠা দুটি পাশে সোনালী রঙ আসলে, ভাজা হয়ে যাবে।
4. সিরায় ভিজিয়ে দিন: পিঠাগুলো তেলে ভাজা হয়ে গেলে গরম সিরায় ডুবিয়ে নিন। পিঠাগুলো সিরায় ৩-৪ মিনিট রেখে ভালোভাবে মিষ্টি সিরা শোষণ করতে দিন।

মালপোয়া পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• সিরাতে সন্দল বা গোলাপ জল ব্যবহার করলে মালপোয়ার সুগন্ধ বাড়বে।
• পিঠাগুলোর ভেতরে মাওয়া বা খেজুর গুড় ব্যবহার করলে তা আরও টেস্টি হবে।
• তেল গরম করার সময় এটি ভালোভাবে গরম হতে দিতে হবে, যেন পিঠাগুলো কচকচ করে ভাজা হয়।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম মালপোয়া পিঠা পরিবেশন করুন, এটি বিশেষ করে শীতকালীন উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নে অন্যতম আকর্ষণ। এক কাপ চা বা কফির সঙ্গে মালপোয়া পিঠা খেতে আরও মজাদার। ঈদ, পুজো বা অন্যান্য উৎসবের দিনে এই পিঠা পরিবেশন করলে বাড়িতে সবার মুখে হাসি ফুটে উঠবে! 😊

পাকন পিঠা

পাকন পিঠা বাংলাদেশের অন্যতম সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় পিঠা, যা সাধারণত শীতকালেই তৈরি হয়। এটি তৈরিতে ময়দা, নারকেল, গুড় এবং চিনি ব্যবহার করা হয়। পাকন পিঠা দেখতে খুবই সুন্দর এবং এর স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। বিশেষ করে শীতকালীন উৎসব বা মেলা অনুষ্ঠানে এই পিঠা খুবই জনপ্রিয়। চলুন, জেনে নিন পাকন পিঠা তৈরির রেসিপি!

পাকন পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ২ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• গুড় – ১ কাপ (কাটা বা গলে নেবার জন্য)
• নারকেল কোরানো – ১ কাপ
• তেল – ১/৪ কাপ
• এলাচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
• লবণ – ১/৪ চা চামচ
• পানি – পরিমাণমতো (বাটা বানানোর জন্য)

পাকন পিঠা তৈরির প্রণালী:

1. গুড়ের সিরা তৈরি করুন: প্রথমে একটি পাত্রে গুড় ও চিনি নিয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে গলিয়ে সিরা তৈরি করুন। সিরা গলে গেলে এতে এলাচ গুঁড়া যোগ করুন এবং কিছুক্ষণ ফোটাতে দিন। সিরাটি ঘন হলে নামিয়ে রাখুন।
2. ব্যাটার তৈরি করুন: একটি বাটিতে ময়দা এবং লবণ মিশিয়ে দিন। এবার এতে তেল এবং একটু একটু করে পানি যোগ করে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটারটি খুব পাতলা না হয়ে মাঝারি ঘন হতে হবে। ব্যাটার তৈরি হয়ে গেলে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
3. পিঠা ভাজা: একটি প্যান বা কড়াইতে তেল গরম করুন। ব্যাটার থেকে ছোট ছোট গোল পেটির আকারে তেল গরম হওয়া পর্যন্ত রোল করে দিন। পিঠাগুলো ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে নিন এবং গরম সিরায় ৪-৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
4. পরিবেশন করুন: পিঠাগুলো সিরায় ভিজে গেলে পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে পিঠাগুলোর ওপর নারকেল কোরানো ছিটিয়ে দিতে পারেন।

পাকন পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• পিঠার সিরাতে গোলাপ জল বা মালতি গুঁড়া যোগ করলে এর সুগন্ধ বাড়বে।
• আপনি পিঠার ভেতরে খেজুর গুড় বা মাওয়া ব্যবহার করতে পারেন, এতে পিঠার স্বাদ আরও উন্নত হবে।
• তেল গরম করার সময় সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে, যাতে পিঠাগুলো মচমচে এবং সোনালি রঙে ভাজা হয়।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম পাকন পিঠা পরিবেশন করুন, এটি বিশেষ করে শীতকালীন উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নে খুবই জনপ্রিয়। এক কাপ চায়ের সাথে এই পিঠা খেতে আরও মজাদার। এই পিঠা ঈদ, পুজো বা যে কোনো পার্টির বিশেষ আয়োজনের জন্য আদর্শ! 😊

সেমাই পিঠা

সেমাই পিঠা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টি পিঠা, যা সাধারণত শীতকালে তৈরি হয়। এটি সেমাই, নারকেল ও মিষ্টি সিরার সমন্বয়ে তৈরি হয়। সেমাই পিঠা দেখতে যেমন সুদৃশ্য, তেমনি তার মিষ্টি স্বাদ আর নারকেলের গন্ধ অতিরিক্ত আকর্ষণীয়। বিশেষ করে শীতের দিনে বা উৎসবের মৌসুমে এই পিঠা তৈরি করা হয়। চলুন, সেমাই পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি জেনে নেয়া যাক।

সেমাই পিঠা তৈরির উপকরণ:

• সেমাই – ২ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• গুড় – ১/২ কাপ
• নারকেল কোরানো – ১/২ কাপ
• তেল – ১/৪ কাপ
• এলাচ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
• পানি – ১ কাপ
• মাখন – ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)

সেমাই পিঠা তৈরির প্রণালী:

1. সিরা তৈরি করুন: প্রথমে একটি পাত্রে চিনি, গুড় এবং পানি মিশিয়ে হালকা আঁচে গলিয়ে সিরা তৈরি করুন। সিরা গলানো হলে এতে এলাচ গুঁড়া যোগ করে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন, যেন সিরা একটু ঘন হয়ে যায়। সিরা তৈরি হলে নামিয়ে রাখুন।
2. সেমাই ভাজা: একটি প্যান বা কড়াইতে তেল গরম করুন। গরম তেলে সেমাই দিন এবং সোনালি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। সেমাই ভাজা হয়ে গেলে প্যান থেকে বের করে নিন।
3. সেমাই পিঠা তৈরি করুন: সেমাই ভাজা হয়ে গেলে, এটি সিরায় ডুবিয়ে দিন। এরপর এতে নারকেল কোরানো এবং মাখন যোগ করুন। (মাখন দিলে সেমাই পিঠা আরো মজাদার হবে)। সেমাই সিরায় ভিজে গেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। গরম গরম সেমাই পিঠা পরিবেশন করুন।

সেমাই পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• গুড় ব্যবহার করলে সিরায় একটি বিশেষ স্বাদ চলে আসে, যা সেমাই পিঠাকে আরো মুখরোচক করে তোলে।
• চাইলে কিসমিস বা বাদামও সিরায় মেশাতে পারেন, এতে স্বাদ আরো উন্নত হবে।
• সেমাই ভাজার সময় তেলের তাপমাত্রা সঠিক রাখুন, যাতে সেমাই কুচি না হয়ে সোনালি ও মচমচে হয়।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম সেমাই পিঠা পরিবেশন করুন, এটি শীতকালে বা বিশেষ কোনো উৎসবে একদম পারফেক্ট মিষ্টি। এক কাপ গরম চায়ের সাথে খেলে, পুরো পরিবেশ হয়ে উঠবে মধুর এবং আনন্দদায়ক। 😊

পুলি পিঠা

পুলি পিঠা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি মিষ্টি পিঠা যা সাধারণত শীতকালে তৈরি হয়। এটি ময়দা, নারকেল, গুড় এবং চিনি দিয়ে তৈরি হয়। পুলি পিঠা তৈরি করা খুব সহজ এবং এর স্বাদ এতটাই মিষ্টি ও সুস্বাদু যে, একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। এই পিঠাটি সাধারণত গরম গরম সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। চলুন, জেনে নিই পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি।

পুলি পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ২ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• গুড় – ১/২ কাপ
• নারকেল কোরানো – ১ কাপ
• এলাচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
• তেল – পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
• পানি – পরিমাণমতো (বাটা বানানোর জন্য)
• লবণ – ১/৪ চা চামচ

পুলি পিঠা তৈরির প্রণালী:

1. ডো প্রস্তুত করুন: একটি বাটিতে ময়দা ও লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এতে একটু একটু করে পানি যোগ করে নরম ডো তৈরি করুন। ডো যেন খুব শক্ত বা খুব নরম না হয়, এমনভাবে তৈরি করুন। ডো তৈরি হলে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।
2. পুর তৈরি করুন: একটি প্যান বা কড়াইতে নারকেল কোরানো, চিনি এবং গুড় মিশিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। এর মধ্যে এলাচ গুঁড়া যোগ করুন এবং কিছুটা গরম করে পুর তৈরি করুন। পুরটা যেন একটু ঘন হয়ে আসে, এমনভাবে রান্না করুন।
3. পুলি বানান: ডো থেকে ছোট ছোট গোল করে অংশ নিয়ে তা হাতে টেনে পুলি আকৃতি দিন। প্রতিটি পুলির মাঝখানে তৈরি করা পুরটা ভরে দিন। পুর ভরানোর পরে পুলি গুলিকে হাত দিয়ে পিসে দিয়ে সিলেক্ট আকৃতিতে তৈরি করুন।
4. পুলি ভাজুন: একটি প্যান বা কড়াইতে পরিমাণমতো তেল গরম করুন। গরম তেলে পুলি গুলি দিয়ে সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। পুলি গুলি ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে নিন।
5. সিরায় ভিজিয়ে দিন: একটি পাত্রে গুড় ও চিনি মিশিয়ে সিরা তৈরি করুন। সিরা গলে গেলে তাতে ভাজা পুলি গুলি ডুবিয়ে রাখুন। পুলি গুলো সিরায় ভিজে গেলে কিছু সময় রেখে পরিবেশন করুন।

পুলি পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• গুড় ব্যবহার করলে পুলি পিঠায় একটি বিশেষ স্বাদ চলে আসে।
• চাইলে বাদাম বা কিসমিস সিরায় যোগ করতে পারেন, এতে আরও সুস্বাদু হবে।
• ভাজার সময় তেলের তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখুন, যাতে পুলি গুলি সোনালি এবং মচমচে হয়।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম পুলি পিঠা পরিবেশন করুন, এটি বিশেষ করে শীতকালীন উৎসব বা পরিবারের মাঝে আনন্দ আয়োজনের জন্য খুবই উপযুক্ত। এক কাপ গরম চায়ের সাথে এই পিঠা খেলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। 😊

নারকেল সন্দেশ পিঠা

নারকেল সন্দেশ পিঠা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পিঠাগুলির মধ্যে একটি। এই পিঠাটি নারকেল, দুধ, চিনি এবং ময়দা দিয়ে তৈরি হয়, যা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি। শীতকালে এই পিঠাটি খুবই জনপ্রিয় এবং বিশেষ করে নানা উৎসবে বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে এটি পরিবেশন করা হয়। এর মিষ্টি স্বাদ এবং নারকেলের সুগন্ধে এই পিঠাটি সত্যিই আলাদা। চলুন, নারকেল সন্দেশ পিঠা তৈরির রেসিপি জেনে নেওয়া যাক।

নারকেল সন্দেশ পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ১ কাপ
• চিনি – ১/২ কাপ
• দুধ – ১ কাপ
• নারকেল কোরানো – ১ কাপ
• গুড় – ১/৪ কাপ
• ঘি – ১ টেবিল চামচ
• এলাচ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
• পানি – ১/২ কাপ
• লবণ – ১/4 চা চামচ

নারকেল সন্দেশ পিঠা তৈরির প্রণালী:

1. সন্দেশের পুর তৈরি করুন: একটি প্যান বা কড়াইতে দুধ এবং চিনি দিন এবং মিশিয়ে নেড়ে নেড়ে দুধ গরম করুন। দুধ গরম হতে থাকলে এতে নারকেল কোরানো যোগ করুন এবং একটু আঁচ কমিয়ে দুধ ও নারকেল একসাথে মিশিয়ে রান্না করুন। যখন দুধ পুরোপুরি শুষ্ক হয়ে আসবে এবং নারকেল মিশে যাবে, তখন এতে গুড় এবং এলাচ গুঁড়া যোগ করুন। ভাল করে মিশিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে পুরটি তৈরি করুন। পুরটি একটু ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।
2. ডো প্রস্তুত করুন: একটি বড় বাটিতে ময়দা এবং লবণ মিশিয়ে নিন। এতে পানি যোগ করে নরম ডো তৈরি করুন। ডো তৈরি হলে এতে ঘি যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
3. পিঠা বানান: ডো থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে, এগুলো হাত দিয়ে গোল আকৃতি দিন। প্রতিটি বলের মাঝে নারকেল সন্দেশের পুর ভরে দিন এবং সঠিকভাবে বন্ধ করুন। পিঠা গুলোকে হাত দিয়ে আলতোভাবে চেপে পাতলা করে গোল আকারে তৈরি করুন।
4. পিঠা ভাজুন: একটি প্যান বা কড়াইতে তেল গরম করুন। তেলে প্রস্তুত পিঠা গুলো দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পিঠা ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে নিন।
5. পরিবেশন করুন: নারকেল সন্দেশ পিঠাগুলি গরম গরম পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে নারকেল কোরানো দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন।

নারকেল সন্দেশ পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• গুড় ব্যবহার করলে পিঠার স্বাদ আরো মধুর হয়ে ওঠে।
• চাইলে পিঠার ভেতরে কিসমিস বা বাদাম যোগ করতে পারেন, এতে স্বাদ আরো উন্নত হবে।
• পিঠাগুলো ভাজার সময় তেলের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে হবে, যাতে সেগুলো মচমচে ও সোনালি হয়।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম নারকেল সন্দেশ পিঠা পরিবেশন করুন, এটি বিশেষ করে শীতকালীন উৎসব, পুজো বা পরিবারের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরির জন্য খুবই উপযুক্ত। এক কাপ গরম চায়ের সাথে এই পিঠা খেলে পুরো পরিবেশ হয়ে উঠবে মধুর এবং আনন্দময়। 😊

রস পিঠা

রস পিঠা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পিঠাগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি সাধারণত শীতকালে তৈরি হয় এবং নারকেল, গুড়, দুধ ও ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়। রস পিঠার ভিতরে থাকে মিষ্টি সিরা যা পিঠাকে আরো সুস্বাদু করে তোলে। এই পিঠাটি সাধারণত গরম গরম পরিবেশন করা হয় এবং শীতের সকালে বা উৎসবে এটি খুবই জনপ্রিয়। চলুন, রস পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি জেনে নেওয়া যাক।

রস পিঠা তৈরির উপকরণ:

• ময়দা – ২ কাপ
• চিনি – ১ কাপ
• গুড় – ১/২ কাপ
• দুধ – ১ কাপ
• নারকেল কোরানো – ১/২ কাপ
• তেল – পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)
• পানি – ১/২ কাপ
• এলাচ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
• লবণ – ১/4 চা চামচ

রস পিঠা তৈরির প্রণালী:

1. সিরা তৈরি করুন: একটি পাত্রে চিনি, গুড় এবং পানি মিশিয়ে হালকা আঁচে গলিয়ে সিরা তৈরি করুন।সিরা গলানোর পর এতে এলাচ গুঁড়া যোগ করুন। সিরা গাঢ় হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন।
2. ডো তৈরি করুন: একটি বাটিতে ময়দা এবং লবণ মিশিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে পানি যোগ করে নরম ডো তৈরি করুন। ডো তৈরি হলে তাতে দুধ ও নারকেল কোরানো যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ডোটি ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
3. রস পিঠা তৈরি করুন: ডো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং হাত দিয়ে পাতলা করে রুটির মতো বানান। মাঝখানে একটি ছোট পাত্রে রস সিরা দিন এবং পিঠার চারপাশ বন্ধ করে দিন। পিঠাগুলোকে গোল আকৃতিতে গড়ে তোলা উচিত।
4. রস পিঠা ভাজুন: একটি প্যানে পরিমাণমতো তেল গরম করুন। তেলে পিঠাগুলো দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে পিঠাগুলো তেল থেকে তুলে নিন।
5. সিরায় ভিজিয়ে দিন: পিঠাগুলোকে গরম সিরায় ভিজিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন। সিরায় ভিজে গেলে রস পিঠা পরিবেশন করুন।

রস পিঠার স্বাদ বাড়ানোর টিপস:

• গুড় ব্যবহার করলে পিঠার স্বাদ মিষ্টি এবং গাঢ় হয়ে ওঠে।
• চাইলে পিঠার সিরায় বাদাম বা কিসমিস যোগ করতে পারেন।
• ভাজার সময় তেলের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে হবে, যাতে পিঠাগুলো সোনালি ও মচমচে হয়।

পরিবেশন ও উপভোগ

গরম গরম রস পিঠা পরিবেশন করুন, এটি শীতকালীন উৎসবে বা কোনো বিশেষ দিনে খুবই জনপ্রিয়। এক কাপ গরম চায়ের সাথে খেলে, পুরো পরিবেশ হয়ে উঠবে মধুর এবং আনন্দময়। 😊

শেষকথাঃ উপসংহার 

শীতকাল মানেই পিঠার মৌসুম। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলি শুধু মিষ্টি আর সুস্বাদুতেই নয়, বরং সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশও। নানা ধরনের পিঠা তৈরির রেসিপি শীতের তীব্রতায় মনোমুগ্ধকর এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করে। এই আর্টিকেলে, আমরা আপনাদের জন্য উপস্থাপন করব বিভিন্ন পদের পিঠা তৈরির রেসিপি, যা আপনাকে শীতকালীন মিষ্টি ও সুস্বাদু পিঠার দুনিয়ায় নিয়ে যাবে।

এতগুলো পিঠা তৈরির রেসিপি আপনাকে শীতের মৌসুমে একটি সেরা উপহার প্রদান করবে। আপনার পরিবারের সবাইকে আনন্দিত করতে এই পিঠাগুলো তৈরি করুন এবং শীতের আনন্দ উপভোগ করুন।