স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১৫ টি সহজ উপায়

সুস্থ থাকতে হলে কিছু ভালো অভ্যাস গঠন করা প্রয়োজন। যেমনঃ 

• ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকা ঃ ধূমপান এবং মদ্যপান শরীরের উপর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। 
• সঠিক সময়ে খাওয়া ঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাওয়া একটি ভালো অভ্যাস। সঠিক সময়ে খাওয়ার একটি অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
• মিষ্টি ও তেলজাতিয় খাবার পরিমানমতো খাওয়া ঃ অতিরিক্ত তেল-মসলা এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এসব খাবার থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। 

৬। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ঃ

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা দেয় এবং শরীরকে অভ্যন্তরীণ অবস্থার উপর নজর রাখে। 

• বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ঃ রক্তচাপ, সুগার এবং কোলেস্টেরলের মতো সাধারন বিষয়গুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
  
• প্রাথমিক সমস্যা চিহ্নিত করা ঃ ছোটখাটো সমস্যা সময়মত চিহ্নিত হলে ভবিষ্যতে বড় রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

৭। সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক ঃ

ভালো সম্পর্ক আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ইতিবাচক রাখে এবং চাপ কমায়। 

• সামাজিক সংযোগ ঃ বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের মানসিক প্রশান্তির জন্য জরুরি। 
• সমাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা ঃ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন আমাদের আন্তবিশ্বাস এবং মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে। 

৮। সঠিক সময়ে বিশ্রাম ঃ 

ব্যস্ত সময়সূচীর মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অন্যন্ত জরুরি। 

• কাজের মাঝে বিরতি ঃ দীর্ঘ সময় কাজ করার পর কিছু সময়ের বিরতি নেওয়া দরকার 
• 
  
• মস্তিষ্ককে রিল্যাক্স করা ঃ মাঝে মাঝে কাজ থেকে বিরতি নিয়ে মস্তিস্ককে শিথিল করা প্রয়োজন। 

৯। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস ঃ 

• সকালে ঘুম থেকে ওঠা ঃ সকালে হালকা রোদ এবং বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য উপকারী। প্রাতঃভ্রমন বা হালকা ব্যায়াম দিনের শুরুতে শরীরকে শক্তিশালি রাখে। 
• পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ঃ শরীর এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে হাত ধোয়া, প্রিতিদিন গোসল করা এবং জামাকাপড় পরিষ্কার রাখা রোগ প্রতিরোধ করাতে সাহায্য করে।

সুস্থ শরীরের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত ওজন বহন করলে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। 

• স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়াম ঃ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন  এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন নিয়ন্ত্রনের সঠিক উপায়। 
• অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহন থেকে বিরত থাকা ঃ অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি এড়িয়ে চলা দরকার, বিশেষ করে তেল-মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার। 

১৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঃ 

আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে হলে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালি করতে হবে। 

• প্রাকৃতিক খাবার গ্রহন ঃ আদা, রসুন,  মধু, এবং হলুদ ইমিউন সিস্টেমকে শইক্তিশালি করে। নিয়মিত এ ধরনের প্রাকৃতিক খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 
• ভ্যাকসিন নেওয়া ঃ সময়মতো ভ্যাকসিন গ্রহন করলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। 

১৫। নিজেকে সময় দেওয়া ঃ 

আমাদের বাস্ত জীবনে নিজেকে সময় দেওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

• হবি চর্চা ঃ নিজের পছন্দের কাজ, যেমন বই পড়া, আঁকা, গান শোনা, ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 
• ভ্রমন ঃ মাঝে মাঝে ভ্রমন মনকে সতেজ করে এবং দৈনন্দিন জীবনের চাপ থেকে মুক্তি দেয়। এটি শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে। 

শেষ কথাঃ উপসংহার ঃ 

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে সামগ্রিকভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু নিয়ম এবং ভালো অভ্যাস যোগ করতে হবে। একদিকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম যেমন শরীরকে সুস্থ রাখবে, তেমনি মানসিক প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন, পজিটিভ চিন্তা, এবং সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্বও অপরিসীম। সবকিছু মিলিয়ে, স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলো খুবই সহজ এবং এগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করা সম্ভব। 

উপরের ১৫ টি অভ্যাস যদি আপনি একটি মাস নিজের উপরে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনি ও হয়ে ওঠবেন একজন স্বাস্থ্যবান এবং সুথাঠামা দেহের অধিকারী।